ওভাল টেস্টটা শুরুর আগে সিরিজে থাকতে পারত ২–২ সমতা। সেদিক থেকে এবারের অ্যাশেজের শেষ ম্যাচটা হতে পারত ‘ফাইনাল’! সেটা হয়নি, অ্যাশেজ পুনরুদ্ধারের ইংলিশ স্বপ্ন চুরমার হয়েছে ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচেই। অস্ট্রেলিয়া নয়, বেন স্টোকসদের স্বপ্ন হন্তারক হয়ে এসেছিল অঝোর বৃষ্টি।
তবে গতকাল ওভালে শুরু হওয়া সিরিজের শেষ টেস্টের গুরুত্ব এতটুকু কমেনি। ম্যাচটি জিতলে ইংল্যান্ড সিরিজ ড্র করবে। আর অস্ট্রেলিয়া জিতলেই ২০০১ সালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম সিরিজ জিতবে দলটি।
এমন একটি ম্যাচের প্রথম দিনটা নিজেদের বলে দাবি করতেই পারে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ২৮৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১ উইকেটে ৬১ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করেছে প্যাট কামিন্সের দল।
এ ম্যাচে টস হারলেই ১১৮ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার প্রথম অধিনায়ক হিসেবে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সব ম্যাচেই টস হারার হারতেন প্যাট কামিন্স। ১৯০৫ সালে পাঁচ টেস্টের সিরিজে সব কটিতেই টস হেরেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক জো ডার্লিং।
কামিন্স আজ টস হারেননি, টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। ইংল্যান্ডের শুরুটা হয়েছিল ভালো। একপর্যায়ে যে ৩ উইকেটে ১৮৪ রান তুলে ফেলেছিল ইংলিশরা। সেখান থেকেই ৯৯ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে অলআউট দলটি।
অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডাররা পাঁচ–পাঁচটি ক্যাচ না ছাড়লে ইংল্যান্ড আরও কমে আটকে যেতে পারত। অস্ট্রেলিয়ানদের ক্যাচ মিসের সুযোগে বোলিংবান্ধব কন্ডিশনেও ওভারপ্রতি পাঁচ রানের বেশি তুলেছে ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেছেন হ্যারি ব্রুক। তবে অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারি ক্যাচ না ফেললে পাঁচ রানেই বিদায় নিতে পারতেন তিনি। ব্রুকের ৯১ বলের ইনিংসে চার ১১টি, ছক্কা ২টি।
ভালো শুরু করেও বড় ইনিংস খেলার সুযোগ হারিয়েছেন জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, মঈন আলী, ক্রিস ওকস, মার্ক উডরা। ইংল্যান্ড ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান বেন ডাকেটের। বলে বলে রান তুলেছেন এই ইংলিশ ওপেনার। ৬২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে তাঁর সঙ্গী ক্রলি করেন ২২। চার রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি জো রুটও। জশ হ্যাজলউডের বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেছেন মাত্র পাঁচ রান। ৭৩ রানে ৩ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে এরপর ১৮৪ রানে নিয়ে যায় মঈন আলী ও ব্রুকের চতুর্থ উইকেট জুটি। এরপর সেই বিপর্যয়।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু ৫২ বলে ৪টি চারে ২৪ রান করে ওয়ার্নার আউট হয়েছেন ক্রিস ওকসের বলে জ্যাক ক্রলির হাতে ক্যাচ দিয়ে। এর উসমান খাজার সঙ্গে জুটি বাধেন মারনাস লাবুশেন। খাজা ২৬ ও লাবুশেন ২ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।
